শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

শিশু গণধর্ষণের মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ভয়েস প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে এক শিশুকে গণধর্ষণের মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
সেই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন, টেকনাফের লেদা এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে নুরুল আলম, জালাল আহমেদের ছেলে হেলাল উদ্দিন ও মো. কাশেমের ছেলে মমতাজ মিয়া।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং -০৩ আদালতে নারী ১১৯১/১৮ শুনানি শেষে বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহিম জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক। তাদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদ মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নুরুল মোস্তফা মানিক ও শাহ আলম বাবুল।
আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা।
তিনি বলেন, ২০০৩ সালের ৫ এপ্রিল বিকালে নুর হাবা নামক সাড়ে ৯ বছর বয়সী শিশু লেদা পাহাড় থেকে লাকড়ি কুড়িয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় তার গতিরোধ করে পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক দলবদ্ধ ধর্ষণ করে আসামিরা।এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা ভিকটিমদের পিতা আবদুল জব্বার।
যার নারী ও শিশু মামলা নং-১১৯১/১৮,  পুরাতন নারী শিশু ১৬০/২০০৩, জিআর ৭৮/২০০৩ এবং টেকনাফ থানার মামলা নং-০৫ (০৪) ২০০৩, ধারা-৯(৩)।
২০০৩ সালের ১ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন টেকনাফ থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই)
মো. নুরুল ইসলাম। বাদি আবদুল জব্বার ২০০৪ সালের ২১ জুন মারা যান।
অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION